খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ কার্তিক, ১৪৩১ | ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেপ্তর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আনিসুল হক-সালমান এফ রহমানসহ ১৪ জনকে ট্রাইব্যুনাল মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, ১৮ নভেম্বর হাজির করার নির্দেশ

যশোরের ঝিকরগাছা বিএনপির সভাপতি সাবিরা ও সম্পাদক নিপুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে বিএনপির শীর্ষ চার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নির্বাচিতরা হলেন, সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নি, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুন এবং ২টি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুরাদুন্নবী মুরাদ ও কাজী আব্দুস সাত্তার।

ঝিকরগাছা পৌর শহরের বিএম হাইস্কুলে উৎসবমূখর পরিবেশে শনিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাউন্সিলররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে ঝিকরগাছা বাজার, উপজেলা মোড়, হাসপাতাল মোড়সহ গোটা ঝিকরগাছা পৌর শহরে বিএনপি কর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল।

শীর্ষ চার পদের নির্বাচনে সভাপতি পদে দু’জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৫ জনসহ মোট ১০জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে সাবিরা সুলতানা মুন্নি ৪৩৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোর্তজা এলাহী টিপু পেয়েছেন ২৯০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জনের মধ্যে ইমরান হাসান সামাদ নিপুন ২৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। এ পদে অপর দু’জন প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম পেয়েছেন ২৪৩ ও আশফাকুজ্জামান খান রনি পেয়েছেন ২২৩ ভোট।

এছাড়া, দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুরুদুন্নবী মুরাদ ৩৬৮ ভোট পেয়ে প্রথম ও কাজী আব্দুস সাত্তার ৩৪৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী গোলাম কাদের বাবলু ২৯৯, ইমামুল হক ২৩০ ও শাহিন আহম্মেদ ১৩৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। নির্বাচনে ৭৮১ জন ভোটারের মধ্যে ৭৫০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু সার্বক্ষণিক ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেন। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, কাজী আজম ও অ্যাড. আনিছুর রহমান মুকুল।

এদিকে, নির্বাচন চলাকালে জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড. মোহাম্মদ ইসহক, মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ, সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ফলাফল ঘোষণা করেন।

২০০৯ সালে সর্বশেষ এ উপজেলায় বিএনপির কাউন্সিল হয়েছিল। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বচনে ভোট দিতে না পারা বিএনপির দলীয় কাউন্সিলররা উৎসাহ উদ্দীপনায় এদিন ভোট প্রদান করেন। প্রবীণ ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিরাও ভোট দিতে আসেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!